মাগুরার শ্রীপুরে ২ ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে বাড়ি-ঘর ভাংচুর, আহত ৩

খন্দকার নজরুল ইসলাম মিলন, মাগুরা: মাগুরা জেলার শ্রীপুরে উপজেলায় বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

২৮-১১-২০২২ সোমবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খড়িবাড়িয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আমির বিশ্বাস, কুদ্দুস বিশ্বাস, শফিউদ্দীন মোল্যা, নাজমুল শেখ, সুবাহান বিশ্বাস, লুৎফর বিশ্বাস, গোলাম শেখ, বাচ্চু, সিরাজ বিশ্বাস, আনোয়ার বিশ্বাস ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ রফিকুল মোল্লাসহ উভয় গ্রুপের ১৫ টি বাড়ি ও বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক মিটার ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩ জন আহত হয়।

আহতরা হলেন, ইমন শেখ (১৬), রনি শেখ (১৬) ও আশিক মোল্লা (৩৫)। ওইদিন বিকেলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বর্তমান ইউপি সদস্য মজিদ মোল্লা সহ উভয় গ্রুপের ৪ জনকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউপি সদস্য মজিদ মোল্লা ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

রফিকুল মোল্লার জমি আতিয়ার রহমানের কাছে বন্ধক রাখে। কিন্তু জমি বন্ধকের টাকা ফেরত না দিয়েই রফিকুল মোল্লা জমিটি নিজের আয়ত্তে নেন। সোমবার দুপুরে ওই জমিতে চাষ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে আতিয়ার রহমানের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম বলেন, রফিকুল মোল্লার পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ৬০ হাজার টাকায় ১৯ শতাংশ জমি বন্ধক রাখে। পরে আবার টাকা দাবি করে। কিন্তু স্টাম্প করে দিতে বললে টাকা ফেরত না দিয়েই সে জমি দখলে নেন।

আজ পরিকল্পিতভাবে মতিন মেম্বারের লোকজন মজিদ মোল্লার লোকের উপর হামলা করে। এ বিষয়ে রফিকুল মোল্লার স্ত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, যে টাকায় জমি বন্ধক রাখা হয়েছিল। সে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আমাদের জমি আমরাই চাষ করতে গেলে আমাদের বাঁধা দেওয়া হয়। পরে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ রফিকুল মোল্লার স্ত্রী জানান, ইউপি সদস্য মোঃ মজিদ মোল্লার লোকজন হঠাৎ আমার বাড়ির উপর এসে বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে ঘরে এবং ঘরের মধ্যে থাকা মোটরসাইকেল কুপিয়ে ঘরে থাকা আসবাবপত্রসহ সোনা গোহনা নিয়ে আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এবং বর্তমান ইউপি সদস্য মজিদ মোল্লা শ্রীপুর থানা হেফাজতে থাকায় তাঁর বক্তব্যও নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাব্বারুল ইসলাম বলেন, পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকা থেকে উভয় গ্রুপের ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.