নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে মৈত্রী পানি বর্ষন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হল বান্দরবানের রুমায় কেন্দ্রীয় মাহা সাংগ্রাই পোয়ে উপলক্ষে মৈত্রী পানি বর্ষন অনুষ্ঠান।
সোমবার বিকালে রুমা বাজার সংলগ্নে সাঙ্গু নদের চড়ে এই মৈত্রী পানি বর্ষন অনুষ্ঠিত হয়।
রুমা কেন্দ্রীয় উৎসব উদযাপন কমিটি ও ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন যৌথ উদ্যোগে মারমাদের ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মারমা সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব মাহা সাংগ্রাই পোয়ে।
এ উপলক্ষে প্রধান আকর্ষণ মাহা মিত্তা রিলং পোয়া বা মৈত্রী পানি বর্ষন অনুষ্ঠান। প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ।
এই দিনই প্রতি বছর শুরু হয় মারমাদের সাংগ্রাই পোয়েঃ।
মঘাব্দ ১৩৮৪ সাল-পুরোনো বছরকে বিদায় ও ১৩৮৫ সালের নতুন বছরকে বরন করতে বান্দরবানের রুমায় কেন্দ্রীয় মাহা সাংগ্রাই পোয়েঃ আয়োজন কমিটি ৫দিনের কর্মসূচি গ্রহন করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৩ এপ্রিল পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে বর্নাঢ্য র্যালি আয়োজন করে।
সোমবার পঞ্চম দিনের সমাপণি অনুষ্ঠান।
দুপুর একটা বিভিন্ন পাড়ার থেকে দলে দলে যুবারা সমাগম হতে থাকে মৈত্রী পানি বর্ষনের কেন্দ্রস্থল বালু চড়ে।
নানান রঙবেরঙে পোষাক পরিহিত গানে গানে তালে তালে অনুষ্ঠান কেন্দ্রস্থলে উপস্থিতি সমাগম। এতে লোকে লোকারণ্যে পরিণত হয় মৈত্রী পানি বর্ষনের অনুষ্ঠান।
শিশু, কিশোর-কিশোরী- যুবা এবং নানান বয়সের বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেনি মানুষের উপস্থিতি মুক্ত হেলে দোলে নৃত্যও সবার মাঝে এক আনন্দঘন পরিবেশে পরিণত হয়েছে। এতে বৌদ্ধ সম্প্রদায় ছাড়াও পাহাড়ি -বাঙ্গালী সকল সম্প্রদায়ের উপস্থিতি এক উপভোগ্য মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুমা জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল শাহরিয়ার ইকবাল।
মৈত্রী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুন শিবলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফরোজা ফারহানা, রুমা খাদ্য রুমা সাঙ্গু কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুইপ্রুচিং মারমা, রুমা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, রুমা খাদ্য
গুদামে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উচনু মারমা পিপলু ও রুমা সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমা।।
রাতে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।