১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর এই দিনে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়

মোঃ নয়ন মিয়া, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি:
স্বাধীন বাংলার আকাশে উড়ে বিজয়ের পতাকা।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সহযোগীতায় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনীম আওন এর সভাপতিত্বে সাংবাদিক মাহমুদুল হকের সঞ্চালনায় ৬ ডিসেম্বর বিরামপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিরামপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল ইসলাম মন্ডল মেজবা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিশির কুমার, বিরামপুর থানা পুলিশের এসআই আশরাফুজ্জামান,বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার হাবিবর রহমান,বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামালসহ আইসিটি স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাগন ৬ ডিসেম্বর বিরামপুর হানাদার মুক্ত করার বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৭নং সেক্টরের তরঙ্গপুর কালিয়াগঞ্জ রণাঙ্গনে ২৮০ জন মুক্তিযোদ্ধা পশিক্ষণে অংশ গ্রহন করে। এই সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযোদ্ধা উন্নতম বীর সেনানী যথাক্রমে মেজর নজমুল হুদা ও মেজর নুরুজ্জামান।

তৎকালীন বিরামপুরে ৫ টি পার্টী দয়ে দেশ মাতৃকার টানে বাংলার দামাল ছেলেরা দেশ স্বাধীন করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। মুক্তিযোদ্ধারা বিরামপুরকে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ঘোড়াঘাট রেলগেট, ভেলারপাড় ব্রিজ, ডাক বাংলো, পূর্বজগন্নাথপুর মামুনাবাদে বাঙ্কার বসিয়ে সর্তক অবস্থায় থাকতেন।

পাকসেনারা ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ও ঘাটপাড় ব্রিজে প্রচন্ড শেলিং করে ভাইগড় গ্রাম দিয়ে তাঁরমনিতে ৪ টি শেল নিক্ষেপ করে। বিরামপুরের কেটরা হাট নামক স্থানে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকসেনাদের সম্মুখ যুদ্ধে ৭ জন পাকসেনা এবং ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যাওয়ার পর ৬ ই ডিসেম্বর বিরামপুর উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.