কালের সংবাদ ডেস্কঃ গতকাল সোমবার (২৭ মার্চ) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়। ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ২২ এপ্রিল (শনিবার)। সে হিসেবে ২১ এপ্রিল (শুক্রবার) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতি বিজিএমইএ। একই সঙ্গে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিরাপদে গ্রামের বাড়ি যাওয়া-আসা নিয়ে ছয়টি দিকনির্দেশনা দিয়েছে বিজিএমইএ।
ঈদের দুই-তিন দিন আগে শ্রমিকদের ছুটি দেয়ার অনুরোধ করেছে সংগঠনটি বিজ্ঞপ্তিতে স্ব-স্ব কারখানা নিজস্ব শিপমেন্ট, কার্যাদেশ, প্রোডাকশনের সঙ্গে সমন্বয় করে যদি সুযোগ থাকে। এটি সরকারি ছুটি বা সাপ্তাহিক ছুটির দিন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জেনারেল ডিউটি করিয়ে সমন্বয় করা যাবে।
বিজিএমইএ’র কারখানা মালিকদের প্রতি চিঠিতে বলা হয়, ঈদের ছুটিতে সড়ক, রেল এবং লঞ্চযাত্রায় একই দিন অতিরিক্ত শ্রমিকের চাপ কমানোর লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে ধাপে ধাপে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন, তবে রমজান মাসে বিভিন্ন সরকারি বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জেনারেল ডিউটি করে এসব ছুটি সমন্বয় করা যাবে।
৬ নির্দেশনা বলা হয়েছে শ্রমিকদের জন্য, ঈদের আগে শেষ কার্যদিবসে শ্রমিকদের ছুটির প্রাক্কালে মালবোঝাই করা ট্রাকে যাতায়াত না করা, তাড়াহুড়ো না করা, রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে ফুটপাত দিয়ে হাঁটা, সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন না করা, অপরিচিত লোকদের দেওয়া খাবার না খাওয়ার বিষয়ে সচেতন করার আহ্বান জানানো হয়।
বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে, শেষ কর্ম দিবসে শ্রমিকদের নিরাপদে গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য প্রয়োজনে কারখানা কর্তৃপক্ষ ৮ থেকে ১০ জনের টিম গঠন করে স্থানীয় ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতা নিতে পারবেন। কোনো পক্ষ যাতে শ্রমিক অসন্তুষ্ট হওয়ার কোনও ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে না পারে, সে বিষয়েও দৃষ্টি রাখতে হবে। কারো প্ররোচনায় শ্রম অসন্তোষ সংঘটিত হতে পারে, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত জানতে পারলে প্রয়োজনে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কলকারখানা অধিদফতর অথবা বিজিএমইএ-এর সঙ্গে আলোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাক মালিকদের এ সংগঠনটি।