কেএনএফ সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম যতদিন থাকবে যৌথবাহিনীর অভিযান ততদিন চলবে। বিজিবি মহাপরিচালক

জেলা প্রতিনিধি -বান্দরবান : বিজিবি মহাপরিচালকের রুমা-থানচি সীমান্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদেরকে বলেন বিজিবি মহাপরিচালক।

সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৪টায় রুমা ব্যাটালিয়ন (৯বিজিবি) সদরে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন বর্তমানে সেনাবাহিনীর আওতাধীন বিভিন্ন বাহিনী মিলে যৌথ বাহিনী হিসেবে সরকারের আদেশে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনী অভিযান চলছে। যৌথঅভিযান চলছে তা সরেজমিনে দেখতে এসেছেন। থানচি বলিপাড়া ৩৮ বিজিবি ও রুমা ৯ ব্যাটালিয়ান বিজিবি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করছে। তাদেরকে উৎসাহ, পরামর্শ প্রদান করার জন্য তিনি এসেছেন বলে জানান। বলি পাড়ায় একটি নতুন বেইস ক্যাম্প করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অপারেশন এবং সীমান্তের ওপারে যাহাতে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিজিবির সকল সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান।

একটি স্বাধীন রাস্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যাংক ডাকাতির মতোরদুঃসাহসিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দেখিয়ে কেউ পার পাবেনা, অত্রএলাকার সাধারণ বম জনগোষ্ঠীরাও কেএনএফের সন্ত্রাসী ঘটনা সমর্থন করেনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিরীহ বম সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের অপপ্রচারের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি। ।

মতবিনিময়কালে বিজিবি মহাপরিচালক সকলকে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। অতঃপর বিজিবি মহাপরিচালক বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ স্পটহাইট টিওবি, থানচি বিওপি এবং থানচি বাজার পোস্ট পরিদর্শন করেন।

পরবর্তীতে বিজিবির মহাপরিচালক রুমা ব্যাটালিয়ন (৯ বিজিবি) এর ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ দোপানিছড়া বিওপি পরিদর্শন করেন এবং সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।

এসময় বান্দরবান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল সোহেল আহমেদ। কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এবং বান্দরবান ব্রিগেড কমান্ডার মেহেদি হাসান,রুমা ৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনান্ট কর্ণেল হাসিবুল হকসহ বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published.